৭১’র উত্তাল সময়ে রনাঙ্গন কাঁপানো বীর সেনানী। বরিশালের গৌরনদী উপজেলার উত্তর পালরদী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজি আতাউর রহমান। যিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে গোপালগঞ্জের ভাইটাপাড়া ওয়ার্লেস,শরিয়তপুরের ভেদরগঞ্জ,ডামুড্ডাসহ তিনটি সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
তবে স্বাধীনতার এত বছর পরেও মুক্তিযোদ্ধার কোন সুযোগ-সুবিধা তিনি পাননি। পাননি স্বীকৃতিটুকুও। সর্বশেষ জামুকার যাছাই বাছাইতেও টিকেছেন। কিন্তু কোন ভাতা বা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। প্রকৃত একজন মুক্তিযোদ্ধার যা যা দরকার তা সবই তার আছে নাই শুধু স্বীকৃতি ও সুযোগ-সুবিধা। এখনো কাগজপত্রের ফাইল নিয়ে অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। অভাব-অনটনে অনেক কষ্টে বেঁচে আছেন তিনি। করোনাকালে পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে কাটছে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার দিন।
শত কষ্টের মাঝেও সদা-হাস্যজ্জল বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজি আতাউর রহমান গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘জাতির জনকের ভাষণে অনুপ্রানিত হয়ে এবং কৃষকুলের নয়নমনি সহিদ আবদুর রব সেরনিয়াবাতের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশ মাতৃকার টানে যুদ্ধ করেছি। ভাতা পাবো ভাতা খাবো এ চিন্তা তখন ছিল না। তখন চিন্তা ছিল একটাই জীবনের বিনিময় হলেও স্বাধীন বাংলাদেশ। অনেক সমস্যায় আছি। যেহেতু বেঁচে আছি সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, তাহলে কেন আমি বঞ্চিত হব? এটার প্রাপ্যতা আমার অধিকার।’
Leave a Reply