নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নিউমার্কেটে সাদা পতাকা উড়ল,ছাত্ররা দাবী উত্থাপন করছে, ছাত্রদের দাবী মেনে নেয়ার প্রেক্ষিতে সমঝোতার চেষ্টাও চলছে তবে এই সবকিছুর মাঝে যেন আমরা কুরিয়ারকর্মী নাহিদের পরিবারকে না ভুলি। পরিবার চালাতে পেটের দায়ে মাত্র ৭ হাজার টাকার বেতনে ডেলিভারি ম্যানের চাকরীর পথ বেছে নিয়েছে।
পরিবারে ৩ ছেলে নাহিদ বড় ছেলে, দুইভাই একজনের বয়স ৭ অন্যজনের বয়স ৩। নাহিদ আর ডালিয়ার প্রেমের বয়স ১ বছর আর বিয়ের বয়স ৬ মাস।নাহিদ সকাল ১০ টায় যখন বাসা থেকে বের হয়েছে তখন ডালিয়াকে বলে গিয়েছে এসে রাতে ডালিয়াকে ঈদের শাড়ী কিনে দিতে মার্কেটে নিয়ে যাবে। সেই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল।ডালিয়া হয়ত শাড়ী পড়বে তবে নাহিদের দেয়া নয়।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তিলোত্তমা সিকদার বলেন…..
গতকাল একটি গনমাধ্যমে দেখলাম ডালিয়া ৮ম শ্রেনী পাশ করেছে, সেলাইয়ের কাজ জানে তাই দেখে আজ নাহিদের স্ত্রী ডালিয়া ও নাহিদের মায়ের জন্য সেলাই মেশিন নিয়ে ছুটে গেলাম কামরাঙ্গিরচর নাহিদ ডালিয়ার বাড়িতে।মেয়েটা কিছুটা স্বাবলম্বী হোক।
তিনি আরো বলেন… এই ব্যাপারটা দেখার পর আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খাঁন জয় ভাইয়ের সাথে তাৎক্ষনিকভাবে আলাপ করলে তিনি পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং ৫৬ নং ওয়ার্ডের কমিশনারের সাথে কথা বলে কিছুদিনের মধ্যে একটা ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা দেন। এছাড়াও ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা জানান তারা নিজ অর্থায়নে নাহিদের পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে যতটুকু সম্ভব তারা চেষ্টা করে যাবে।তাহা নাহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
Leave a Reply