মোঃ মতিউর রহমান :
ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির মুখপাত্র নুপুর শর্মা হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে যে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং নবীজিকে কটাক্ষ করায় সাড়া দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ন্যায় চাঁদপুর সরকারি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে মানববন্ধ কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচির প্রথমেই ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র এইচ এম শাহজালাল পবিত্র কোরআন থেকে আয়াত তেলোয়াত করে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে উদ্ভধনী বক্তব্য রাখেন প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র ডি.এম ফয়সাল। কর্মসূচিতে আরো বক্ত্যব্য রাখেন:- মোঃ আসিফ ইকবাল (প্রাণীবিদ্যা বিভাগ ৩য় বর্ষ), মোঃ ইমরান হোসাইন মামুন (প্রাণীবিদ্যা বিভাগ ১ম বর্ষ), কামরুল ইসলাম (ডিগ্রি ৩য় বর্ষ), মোঃ এহসানুল ফেরদৌস (ইংরেজী ৪র্থ বর্ষ), মোঃ শরিফুল ইসলাম (সমাজকর্ম বিভাগ ৪র্থ বর্ষ), মোঃ নিয়াজ মোর্শেদ (সাবেক শিক্ষার্থী চা.স.ক) মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম (ইসলামিক স্টাডিজ ২য় বর্ষ), আরো বক্তব্য রাখে- সালমা আক্তার, সাহনাজ ফাতেমা, তাহমিনা, ইশরাত জাহান প্রমুখ। বক্তারা তাদের বক্তব্যে নবীজিকে কটাক্ষকারীকে উদ্দ্যেশ করে বলেন মুসলমানরা প্রায় ৭০০ বছর ভারতবর্ষকে শাসন করেছিল।
সেসময় মুসলমানদের দ্বারা অন্য ধর্মের লোকেরা কোন প্রকার নির্যাতিত ও নিপিড়নের কোন ঘটনা ঘটে নাই। কিন্তু কট্টরবাদী হিন্দুরা মাত্র ৩০০ বছর শাসনে ঘটিয়েছে নানা নির্যাতন নিপিড়নের ঘটনা যার স্বীকার হয়েছে শুধু মুসলমানরা।বার বার তারা শুধু আমাদের নবী ও আমাদের ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ও কটাক্ষ করেছে।বক্তারা বলেন ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক নেতা নবীকে কটাক্ষ করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রধান মন্ত্রী এখনো ব্যাক্তিগত ভাবে কিংবা সংসদে নবীজিকে নিয়ে কটাক্ষর ঘটনায় কোন প্রকার নিন্দা বা বিবৃতি প্রকাশ করেন নি।
বক্তারা দাবি করেন প্রধান মন্ত্রী যেন অতি শিগ্রই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং এর সাথে সাথে তিনি যেন সকল ভারতীয় পন্য বয়কট করার নির্দেশ দেন এবং ভারতের সাথে সব ধরনের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেন। বক্তারা বলেন জাতি সংঘ যেন এর সুষ্ঠ সমাধান দেন। এবং ভবিষ্যতে যেন কোন ধর্মকে কটাক্ষ করা এবং যেকোন দেশের সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাত নিপিড়ন যাতে না হয় সেই সমস্ত আইনকে আরো মজবুত করতে হবে।বক্তব্য শেষে শিক্ষার্থীরা নুপুর শর্মার বিরুদ্ধে জুতা মারার স্লোগান দেন। ইসলামিক সংগিত এবং দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত করেন দর্শন বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র মোঃ আখাতার হোসেন আখন।
Leave a Reply